সিবিএন ডেস্ক ;

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারবেন। এরপর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী ৯ মাস (ফেব্রুয়ারি-অক্টোবর) পর্যন্ত পর্যটক ভ্রমণ বন্ধ থাকবে।

তবে দ্বীপের বাসিন্দা ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পর্যটন চালুর দাবি জানিয়েছেন। তবে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) পর্যন্ত সরকার এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেনি।

সেন্টমার্টিনে সাধারণত প্রতি বছর ১ অক্টোবর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত পর্যটকরা ভ্রমণ করেন। তবে এ বছর মন্ত্রণালয় থেকে পর্যটক সীমিতকরণের জন্য বিশেষ বিধিনিষেধ জারি করা হয়।

নভেম্বরে পর্যটকদের দ্বীপে রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ ছিল।  ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে প্রতিদিন ২,০০০ পর্যটক যাওয়ার অনুমতি ছিল, তবে রাত্রিযাপন করা যেত।  ফেব্রুয়ারি থেকে পর্যটকদের প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

তবে গত বছরের নভেম্বরে যথাসময়ে জাহাজ চলাচলের অনুমতি না পাওয়ায় পর্যটকরা সেন্টমার্টিন যেতে পারেননি। পরে ডিসেম্বর থেকে ট্রাভেল পাসের মাধ্যমে ভ্রমণ শুরু হয়।

সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা এ সিদ্ধান্তের ফলে অর্থনৈতিক সংকটে পড়ার আশঙ্কা করছেন।

দ্বীপের বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, “দুই মাসের আয় দিয়ে সেন্টমার্টিনের মানুষের ১০ মাস চলা সম্ভব নয়। তাই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দ্বীপ উন্মুক্ত রাখার দাবি জানাচ্ছি।”

হোটেল-মোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি এমএ রহিম জিহাদী বলেন, “এখন যদি পর্যটক আসা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে দ্বীপের হাজারো মানুষের জীবনযাত্রা সংকটে পড়বে। মানবিক দিক বিবেচনা করে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেন্টমার্টিন খোলা রাখার দাবি জানাচ্ছি।”

সি-ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, “অন্তত ফেব্রুয়ারি মাসটা পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত রাখার অনুরোধ করছি, যাতে দ্বীপের মানুষ ও ব্যবসায়ীদের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া যায়।”

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান হোসাইন সজীব বলেন, “৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সেন্টমার্টিনগামী জাহাজগুলো চলাচল করবে। এরপর আর পর্যটকবাহী জাহাজ চলতে পারবে না। যদি সরকার সময় বাড়ানোর নির্দেশ দেয়, তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

১৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই দ্বীপে ১০,০০০-এর বেশি মানুষ বসবাস করেন। প্রতিবছর পর্যটকদের আনাগোনার ফলে দ্বীপের পরিবেশের ওপর চাপ বাড়ছে বলে সরকারের মত। এই কারণে পর্যটক সীমিতকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।